একজন সফল উদ্যোক্তার জন্য যা করণীয়

একজন সফল উদ্যোক্তার জন্য যা করণীয় যা যা তা জেনে নিন, একটি উদ্যোগ গ্রহন করা খুব সহজ কিন্তু সেই উদ্যোগকে সফল করা সকল উদ্যোক্তা পারে না। তাই আজকের আলোচনা একজন সফল উদ্যোক্তার জন্য যা করণীয় এবং সফল উদ্যোক্তা হতে যা করা উচিত।

আপনি যে ব্যবসাতেই নামেন না কেন, সেই ব্যবসার কোন প্রাথমিক ধারনা না থাকলে সেই ব্যবসা সফল হওয়া খুবই কঠিন তাই সেই ব্যবসার প্রাথমিক ধারনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আপনাকে অনেক দক্ষ হতে হবে।

একজন সফল উদ্যোক্তা ওয়ারেন বাফেট এর কাছ থেকে যা শিক্ষণ নিবেনঃ

শৈশব থেকেই ওয়ারেন বাফেটের স্বপ্ন ছিল নিজের পায়ে দাঁড়ানোর । ছোট থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য তিনি প্রচুর বই পড়তেন । এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন লাইব্রেরী থেকে সংগ্রহ করা বই এর মধ্যে তার On thousand way to make to make 1000 Dollar বাফেটকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করে ।

ওয়ারেন বাফেট নামে একজন ছোট বেলা থেকেই তার দাদার দোকানে কাজ করতেন, এমনকি তিনি অন্যের বাড়িতে গিয়েও হকারের মত ম্যাগা-জিন বিক্রি করে আসতেন । একটা সময়ে এসে তিনি ১১ বছর বয়সে ৩ টা শেয়ার ক্রয় করেন। হাই স্কুলে থাকা কালে, তিনি তার বাবার কিছু সম্পত্তি বিনিয়োগ করেন এবং একটা খামার ক্রয় করেন।

সফল উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ে যা করণীয়-

নিজের অভিজ্ঞতা বাড়ানোর জন্য প্রথমে তুমি যে কাজ পাও তাই দিয়ে শুরু করো, নন অফিসিয়াল, সেলস ম্যান, সেলস অফিসার, চাকরি, ব্যবসা, অফিসিয়াল,  মার্কেটিং অফিসার, ফ্লোর ইনচার্জ, সার্বেয়ার, স্টোর কীপার, ফিল্ড অফিসার, কালেকশান অফিসার, গার্মেন্টসের কিউসি, টীম মেম্বার থেকে শুরু করে সব কাজ এবং কিছুদিন কাজ করে তোমার পছন্দের কাজ টি বেছে নাও এবং সেই চাকুরির থেকেই বড় অভিজ্ঞতাটা সঞ্চয় করো। তাহলে ভাবছো উদ্যোক্তাই যদি হবে তবে চাকুরি কেনো?

হ্যাঁ, চাকুরি তোমাকে করতে হচ্ছে নিজের ব্যবসায়িক উদ্যোগ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা লাভ এবং তোমার পছন্দের ব্যবসা সম্পর্কে অন্য কোণ অফিসে চাকুরি করে তার সম্পর্কে ব্যপক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা।

নিজেকে বদলাও ! সফলতা আসবেই …

অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের পরে আপনার পছন্দের ব্যবসার একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করুন পাশাপাশি একটি ফিনানশিয়াল পরিকল্পনা অর্থাৎ ব্যবসা টি করতে মোট কত মূলধন লাগবে এবং কত টাকা আপনি প্রতি মাসে ব্যয় করবেন এবং তা কবে থেকে আর নিজের পকেট থেকে বিনিয়োগ করা লাগবে না যা আপনার পণ্য বিক্রির মুনাফা থেকেই খরচ উঠে আসবে এবং এমন ও প্ল্যান তৈরি করুন কত বছরে আপনি আপনার মোট বিনিয়োগের টাকা ফেরত উঠিয়ে নিয়ে আসবেন তা প্রতি মাসের লাভের কত % হিসাবে।

সকল পরিকল্পনা তৈরি করা হয়ে গেলে নির্ধারন করুন আপনি কি কি পণ্য নিয়ে কাজ করবেন এবং তার কত% প্রফিটে বিক্রি করবেন। এবং সেই সকল পণ্য এর মধ্যে আপনার ইউনিক পণ্য কি কি যা দিয়ে আপনি সবার থেকে বেশী প্রফিটে পণ্য বিক্রি করবেন। পণ্য বাছাই করা হয়ে গেলো একটি মার্কেটিং প্ল্যান তৈরি করুন এবং কীভাবে এর সঠিক প্রচার-প্রসার করে ব্যবসার মুনাফা করবেন।

পরিশেষে বলতে চাই, ব্যবসার পরিচিতির পাশাপাশি আপনার নিজের পরিচিতিও বৃদ্ধি করুন। আপনার এবং আপনার প্রতিষ্ঠানের পরিচিতই আপনার অধিক পণ্য বিক্রির নিশ্চয়তা দিবে।

আমাদের এই আর্টিকেল টি পড়ে ভালো লাগলে যারা নতুন উদ্যোক্তা হতে চাইতে তাদের মাঝে শেয়ার করে দিন যাতে তারা তাদের উদ্যোগটি সফলতা লাভ করতে পারে।

Related Articles

Stay Connected

0FansLike
3,911FollowersFollow
0SubscribersSubscribe

Latest Articles